রাজকীয় সৌন্দর্য্য আর টেকসই বিছানা চাদরের বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হোম টেক্স বাংলাদেশ!

 

সূচিপত্র

  1. ভূমিকা

  2. বিছানা চাদর কি এবং কেন?

  3. বিছানা চাদর কেন ব্যবহার করা হয়?

  4. বাংলাদেশের সেরা বিছানা চাদরের প্রতিষ্ঠান সমূহ

  5. বিছানা চাদর জগতের অনন্য প্রতিষ্ঠান হোম টেক্স বাংলাদেশ

  6. হোম টেক্স বিছানা চাদরের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ

  7. হোম টেক্স বাংলাদেশ কেন সেরা?

  8. হোম টেক্স বাংলাদেশ এর বিছানা চাদরের রকমভেদ

  1. কটন কাপড়ের বিছানা চাদর

  2. সাটিন কাপড়ের বিছানা চাদর

  3. পারকেল কটন কাপড়ের বিছানা চাদর

  1. আকার অনুযায়ী হোম টেক্স বাংলাদেশ এর বিছানার চাদর

  2. উপসংহার


ভূমিকা

সামাজিকতা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আর এই সামাজিকতা সুদৃঢ় হয় সুচিন্তিত মতামত আর মার্জিত রুচিবোধের মাধ্যমে। তাইতো মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরনের পরই যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠে তা হল সৌন্দর্য্য ও সামাজিকতা। আর এই সৌন্দর্য্য আর সামাজিকতার শুরু হয় ব্যাক্তির বাহ্যিক থেকে শুরু করে ঘরদোর পর্যন্ত।

আমরা যখন কোন ঘরকে সৌন্দর্য্যমন্ডিত করতে যাই তখন ঘরের বাহির ও ভিতর দুটোই গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠে। একটি বিছানা চাদর কেবল বিছানাকে সুন্দর করে না, বরং প্রকাশ করে মার্জিত রুচিবোধ ও মার্জিত ভাবনাকে। আর আপনার এই মার্জিত ভাবনা ও রুচিবোধকে প্রশংসনীয় করতে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছে হোম টেক্স বাংলাদেশ (Home Tex Bangladesh)।

 

বিছানা চাদর (Bed Sheet)  কি এবং কেন?

বিছানার ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে এবং বিছানাকে সহজে পরিষ্কার পরিপাটি রাখতে বিছানার উপর কাপড়ের যে অবয়ব বা আস্তরন বিছিয়ে রাখা হয়, তাই বিছানা চাদর। বুনন, রং, আকার আর মানের উপর নির্ভর করে বিছানা চাদর বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে বিছানা চাদর যেমনই হোক না কেন, আরমদায়ক ঘুম নিশ্চিতকল্পে এর ভুমিকা অন্যতম।

 

বিছানা চাদর কেন ব্যবহার করা হয়?

  • ধুলোবালি মুক্ত বিছানা নিশ্চিত করতে।

  • বিছানা সুন্দর পরিপাটি রাখতে।

  • বিছানায় সহজে পরিষ্কার করতে।

  • মার্জিত রুচিবোধ প্রকাশ করতে।

  • আরামদায়ক ঘুমের নিশ্চয়তায়।

 


বাংলাদেশের সেরা বিছানা চাদরের প্রতিষ্ঠান সমূহ:

সুতো, রং, আকার, স্থায়িত্ব, ব্যবহার সুবিধা, দাম আর গুণমান বিচার করে সেরা বিছানা চাদর নির্বাচন করা হয়। আর সবমিলিয়ে যে প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আছে, তাদেরকেই সেরা হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই সামগ্রিকতা মিলিয়ে বাংলাদেশের সেরা বিছানা চাদর হিসেবে সর্বজনবিধিত আর সবচেয়ে প্রশংসিত প্রতিষ্ঠান হলো হোম টেক্স বাংলাদেশ। হোম টেক্স বাংলাদেশ ছাড়াও বিছানা চাদর জগতে এগিয়ে আছে ক্লাসিক্যাল হোমটেক্স, ঢাকা হোমটেক্স, আরাজ, এক্সক্লুসিভ হোমটেক্স সহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান। হোম টেক্স বাংলাদেশ এর প্রধান শো-রুম ঢাকা নিউমার্কেটের গ্রীণ স্মরণীকা শপিং মলের চতুর্থ তলায় অবস্থিত।

 

বিছানা চাদর জগতের অনন্য প্রতিষ্ঠান হোম টেক্স বাংলাদেশ

২০১৪ সালে বিছানা চাদর মেনুফেকচারিং কার্য্যক্রমের মধ্য দিয়ে হোম টেক্স বাংলাদেশ (Home Tex Bangladesh) তার যাত্রা শুরু করে। গ্রাহক চাহিদা মাথায় রেখে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য প্রদানের মাধ্যমে তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে লাভ করে গ্রাহক জনপ্রিয়তা। আর দীর্ঘ ১০+ বছরের পদযাত্রায় হোম টেক্স বাংলাদেশ রুপ লাভ করেছে বিছানা চাদর জগতের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে।

হোম টেক্স বাংলাদেশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিছানার চাদর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি। এবং সুপরিচিত ব্র্যান্ড বিস্তৃত উচ্চ মানের বিছানার চাদর সরবরাহ করে। তাদের সংগ্রহে রয়েছে বিভিন্ন কোয়ালিটি সম্পন্ন কাপড় থেকে তৈরি নানান বর্নিল বিছানার চাদর।


হোম টেক্স বিছানার চাদরের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ :

সর্বোচ্চ গুণমান: হোম টেক্স বাংলাদেশের বিছানার চাদর শীর্ষস্থানীয় উপকরণ থেকে তৈরি।

ডিজাইনের বৈচিত্র্য: হোম টেক্স বাংলাদেশ যেকোন বেডরুমের সাজসজ্জার সাথে মিল রেখে ভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে থাকে।

বর্নিল আকার: আপনার ছোট বিছানা, মধ্যম বিছানা, বড় বিছানা বা অতিরিক্ত বড় বিছানা যাই হোক না কেন, হোম টেক্স বাংলাদেশ আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বিছানা চাদর প্রস্তুত করে থাকে।

উন্নত মুদ্রণ প্রযুক্তি: ডিজিটাল বিছানার চাদর সংগ্রহে হোম টেক্স বাংলাদেশ প্রাণবন্ত এবং বিস্তারিত ডিজাইন তৈরি করতে নিত্য নতুন মুদ্রণ কৌশল ব্যবহার করে।

 

হোম টেক্স বাংলাদেশ কেন সেরা?

গ্রাহক চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশ মার্কেটে অনেকগুলো বিছানা চাদর তৈরী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও; সামগ্রিক বিবেচনায় বাংলাদেশ অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে, কারণ-

  1. হোম টেক্স বাংলাদেশের রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কারখানা, ফলতঃ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে নিশ্চিত করতে পারছে পণ্যের গুণগত মান।

  2. হোম টেক্স বাংলাদেশ নিশ্চিত করছে ১০০% পিউর অথবা সাটিন সুতোয় বোনা বিছানা চাদর।

  3. হোম টেক্স বাংলাদেশ নিশ্চিত করছে সেরা বুনন ও পরীক্ষিত সেরা মান।

  4. হোম টেক্স বাংলাদেশ এর পণ্যের রয়েছে পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিতকরণ সার্টিফিকেট।

  5. হোম টেক্স বাংলাদেশ দিচ্ছে বিভিন্ন রং আর ডিজাইনের বিছানা চাদর।

  6. গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী হোম টেক্স বাংলাদেশ এর রয়েছে যেকোন আকারের বিছানা চাদর।

  7. হোম টেক্স বাংলাদেশ এর রয়েছে খুচরা ও পাইকারী পণ্য কেনার সুবিধা।

  8. কেনাকাটার সুবিধার জন্য হোম টেক্স বাংলাদেশ এর রয়েছে অনলাইন মাধ্যম ও শো-রুম।

  9. হোম টেক্স বাংলাদেশ এর রয়েছে কর্পোরেট, প্রাইভেট, সরকারী, আধা সরকারী সহ বিশ্বব্যাপী বড় পরিসরের বিশ্বস্ত গ্রাহক জোন।

  10. গ্রাহকদের সুবিধার জন্য হোম টেক্স বাংলাদেশ এর রয়েছে নিজস্ব গ্রাহক সেবা টিম।

 

হোম টেক্স বাংলাদেশ এর বিছানা চাদরের রকমভেদ

সুতোর মান, দাম আর আকার অনুযায়ী বিছানা চাদরের প্রকারভেদ হয়ে থাকে। হোম টেক্স বাংলাদেশ (Home Tex Bangladesh) ও এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই গ্রাহকের চাহিদা, প্রয়োজন ও অবস্থা অনুযায়ী বিছানা চাদরগুলোকে ভাগ করে। হোম টেক্স বাংলাদেশ বিছানা চাদরকে সুতোর মান অনুযায়ী ৩ ভাগে ভাগ করে- 

১) কটন কাপড়ের বিছানা চাদর

২) সাটিন কাপড়ের বিছানা চাদর

৩) পারকেল কটন কাপড়ের বিছানা চাদর

১) কটন কাপড়ের বিছানা চাদর: প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো তুলো থেকে প্রস্তুতকৃত তৈরী সুতোয় বিছানা চাদরগুলোই কটন বিছানা চাদর নামে অভিহিত। হোম টেক্স বাংলাদেশ তাদের কটন সুতোয় তৈরী বিছানা চাদরগুলোকে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করে থাকে।

  1. রেগুলার কটন (Regular Cotton) বিছানা চাদর

  2. প্রিমিয়াম কোয়ালিটির কটন (Premium Quality Cotton) বিছানা চাদর

  3. হ্যাপি টুইল (Happy Twill) বিছানা চাদর

  4. রোটারি টুইল (Rotary Twill) বিছানা চাদর



a) রেগুলার কটন বিছানা চাদর: তুলা থেকে প্রসেসকৃত সুতায় তৈরী হয়, রেগুলার কটন বিছানা চাদরগুলো। রেগুলার কটন ‍বিছানা চাদরের বৈশিষ্ট্য হলো-

  • এ ধরনের বিছানা চাদর নরম ও কোমল, তাই বিছানা চাদরগুলো আরাম দায়ক ঘুম নিশ্চিত করে।

  • সুতোর তৈরী হওয়ায় বিছানা চাদরগুলো দিয়ে সহজেই বাতাস চলাচল করে। ফলে এটি গ্রীষ্মে ঠান্ডা আর শীতে গরম অনুভূতি তৈরী করে।

  • তুলায় তৈরীকৃত সুতা বেশ মজবুত হওয়ায়, ঘন-ঘন ধোয়ার পরও এর মান অটুট থাকে।

  • তুলা আর্দ্রতা শোষন করতে পারে বিধায় এটি শুকনা ও আরামদায়ক অবস্থা সৃষ্টি করতে সক্ষম।

  • এধরনের বিছানা চাদর ধোয়া ও যত্ন নেওয়ায় সহজ বিধায় সহজেই সকলে পছন্দ করে থাকে।

  • এই বিছানা চাদরগুলো স্মল, সেমিডাবল, কিং আর এক্সট্রা কিং এই চার সাইজে পাওয়া যায়।

b) প্রিমিয়াম কোয়ালিটির কটন বিছানা চাদর: উচ্চমানের তুলো থেকে উৎপাদিত সুতোয় তৈরী আরামদায়ক, টেকসই ও আকর্ষণীয় নকশায় তৈরী হয় প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বিছানা চাদরগুলো। এই বিছানা চাদরগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো-

  • এই চাদরগুলোতে সাধারণত মিশরীয় বা পিমা সুতো ব্যবহার করা হয়, যা বেশ লম্বা ও মসৃন তন্তু দেয়, ফলে চাদরগুলো হয় বেশ নরম ও টেকসই।

  • প্রিমিয়াম কটন চাদরগুলোতে বেশি থ্রেড কাউন্ট থাকে, যা চাদরকে আরও মসৃণ এবং আরামদায়ক করে তোলে।

  • এই ধরনের চাদরগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য হওয়ায় ঘুমানোর সময় আরামদায়ক তাপমাত্রা বজায় থাকে।

  • উচ্চমানের তুলায় নির্মিত হওয়ায় চাদরগুলো কোমল আর দীর্ঘস্থায়ী হয়।

  • এই বিছানা চাদরগুলো শুধুমাত্র কিং সাইজে পাওয়া যায়।


c) হ্যাপি টুইল বিছানা চাদর: টুইলস বিছানার চাদর একটু মোটা সুতোর বুননে তৈরি বিছানা চাদর। ফলে এগুলো চিকন সুতোর তৈরী বিছানা চাদর অপেক্ষা একটু মোটা আর ওজনে কিছুটা ভারী। নিচে হ্যাপি টুইলস বিছানার চাদরের কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:

  • হ্যাপি টুইলস চাদরগুলো রেগুলার কটন বা প্রিমিয়াম কটনের তুলনামুলকভাবে একটু মোটা সুতোয় তৈরী।

  • এগুলো রেগুলার বা প্রিমিয়াম বিছানা চাদরের তুলনায় মোটা ও ওজনে ভারী হয়।

  • তুলোর সুতোয় নির্মিত হওয়ায় আরামদায়ক।

  • নানান ধরনের ডিজাইনে প্রস্তুত।

  • এ ধরনের বিছানা চাদরগুলো সহজেই পরিষ্কার আর রক্ষনাবেক্ষন করা যায় এবং স্থায়িত্ব বেশী হয়।

  • এই বিছানা চাদরগুলো স্মল, সেমিডাবল, কিং আর এক্সট্রা কিং এই চার সাইজে পাওয়া যায়।

d) রোটারি টুইল বিছানা চাদর: রোটারি টুইলস বিছানার চাদর এমন একটি বিশেষ ধরনের বিছানার চাদর যা মোটা সুতোয় ঘূর্ণয়মান পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। রোটারি টুইলস বিছানার চাদরের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:

  • ঘূর্ণয়মান পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ার ফলে চাদরের উপর এক ধরনের ডায়াগোনাল বা তির্যক প্যাটার্ন তৈরি হয়, যা চাদরকে একটি সুন্দর রূপ দেয়।

  • বুনন পদ্ধতির দরুন চাদরগুলো হয় মজবুত এবং টেকসই, ফলে এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা সম্ভবপর হয়।

  • রোটারি টুইলস বিছানার চাদর নরম এবং আরামদায়ক হওয়ায় ঘুমের মান উন্নত হয়।

  • বিছানা চাদরগুলো ধোয়া এবং যত্ন নেওয়া সহজ, তাই এটি প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

  • রোটারি টুইলস বিছানার চাদর বিভিন্ন রঙ, ডিজাইন এবং আকারে শয়নকক্ষের সাজসজ্জার সাথে মানানসই করা যায়।

  • এই বিছানা চাদরগুলো শুধুমাত্র কিং সাইজে পাওয়া যায়।



২) সাটিন কাপড়ের বিছানা চাদর: 


সাটিন বেড শিট (Satin Bed Sheet) হলো একটি প্রিমিয়াম মানের বেড শিট, যা সাধারণত পলিয়েস্টার, নাইলন বা রেশমের মতো সিনথেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়। সাটিন বেড শিটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর মসৃণ, চকচকে ও নরম বুনন, যা একে অন্যান্য শিটের তুলনায় অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে। সাটিন বেড শিট একটি প্রিমিয়াম পণ্য যা বিলাসবহুল বিছানার সাজসজ্জার জন্য উপযুক্ত। এটি বিভিন্ন রং ও ডিজাইনে পাওয়া যায়। যারা বিলাসিতা পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ পছন্দ।


সাটিন বিছানা চাদরের বৈশিষ্ট্য:

  1. মসৃণতা এবং চকচকে ভাব: সাটিন বেড শিট খুবই মসৃণ এবং চকচকে , যা এর সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে। এটি ঘরের সাজসজ্জাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে ফলে ঘরের অভিজাত্য বৃদ্ধি পায়।

  2.  আরামদায়ক: সাটিন কাপড়ের স্পর্শ খুবই কোমল ও নরম হয়, যা ঘুমের সময় বিশেষ আরাম প্রদান করে। এটি ত্বকের জন্যও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ।

  3.  তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: সাটিন বেড শিট সাধারণত বায়ু চলাচল উপযোগী, যা ঘুমের সময় অতিরিক্ত গরম হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

  4. টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী: সঠিক যত্ন নিলে সাটিন বেড শিট দীর্ঘ সময় পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। এটি ক্ষয়প্রাপ্ত হতে সময় নেয় এবং রঙ হারায় না।

  5. রঙ ও ডিজাইনের ভিন্নতা: সাটিন বেড শিট বিভিন্ন রঙ এবং ডিজাইনে পাওয়া যায়, যা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয়।

  6. পরিচ্ছন্নতা: সাটিন বেড শিট সহজে ময়লা ধরে না এবং সহজেই পরিষ্কার করা যায়।


সাটিন বিছানা চাদরের যত্ন:

  • ঠান্ডা পানিতে ধোয়া: সাটিন বেড শিটকে ঠান্ডা পানিতে ধোয়া উচিৎ, যাতে তার মসৃণতা এবং রঙ বজায় থাকে।

  • হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার: ধোয়ার সময় হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা উচিৎ, যাতে ফ্যাব্রিকের ক্ষতি না হয়।

  • নিম্ন তাপমাত্রায় ইস্ত্রি: সাটিন কাপড় উচ্চ তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করা উচিত নয়; নিম্ন তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করলে কাপড়ের চকচকে ভাব বজায় থাকে।

  • শুকানোর সময় সাবধানতা: সাটিন বেড শিট শুকানোর সময় সরাসরি সূর্যের আলোতে না শুকিয়ে ছায়ায় শুকানো উচিত। না হলে এটি রঙের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দিতে পারে।


সাটিন বিছানা চাদরের প্রকারভেদ: কাপড়ের বুনন ও গুণগত মান বিবেচনায় হোম টেক্স   

বাংলাদেশ সাটিন বেড শিটগুলোকে প্রধান ৪ টি ভাগে ভাগ করে। ভাগগুলো হল:

  1. রেগুলার সাটিন

  2. স্ট্রাইপ সাটিন

  3. ভিআইপি রোটারি সাটিন

  4. ডিজিটাল সাটিন



1. রেগুলার সাটিন:  রেগুলার সাটিন হলো একটি মসৃণ ও চকচকে বুনন পদ্ধতি, যা 

সাধারণত পলিয়েস্টার, নাইলন, বা কটন দিয়ে তৈরি করা হয়।


বৈশিষ্ট্য:

মসৃণতা: এটি খুবই মসৃণ ও কোমল।

চকচকে ভাব: সাটিন ফ্যাব্রিকের একটি উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় চকচকে ফিনিশ থাকে।

আরামদায়ক: রেগুলার সাটিন ব্যবহার করে তৈরি পণ্যগুলো আরামদায়ক এবং শীতল অনুভূতি প্রদান করে।

দাম: এটি তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হয়।

আকার: এই বিছানা চাদরগুলো ৪ টি ভিন্ন সাইজে পাওয়া যায়। সাইজগুলো হল- সিঙ্গেল, সেমি ডাবল, ডাবল বা কিং ও এক্সট্রা কিং।


2. স্ট্রাইপ সাটিন: স্ট্রাইপ সাটিন হলো সাটিন ফ্যাব্রিকের একটি ভ্যারিয়েশন, যেখানে ফ্যাব্রিকের উপর স্ট্রাইপ (ডোরা কাটা) প্যাটার্ন থাকে।


বৈশিষ্ট্য:

স্ট্রাইপ ডিজাইন: ফ্যাব্রিকের মধ্যে স্ট্রাইপ প্যাটার্ন থাকে, যা দেখতে আধুনিক এবং স্টাইলিশ।

মসৃণতা ও চকচকে ভাব: স্ট্রাইপ সাটিনও মসৃণ ও চকচকে, যেমনটি রেগুলার সাটিনে থাকে।

টেক্সচারাল কনট্রাস্ট: স্ট্রাইপের কারণে এতে মসৃণ এবং ম্যাট টেক্সচারের একটি কনট্রাস্ট তৈরি হয়।

অভিজাততা: এই ডিজাইনটি সাধারণত বিছানার চাদর এবং পিলো কভারে ব্যবহৃত হয়, যা শোবার ঘরে অভিজাততা যোগ করে।

আকার: এই বিছানা চাদরগুলো ৩ টি ভিন্ন সাইজে পাওয়া যায়। সাইজগুলো হল- সিঙ্গেল, ডাবল বা কিং ও এক্সট্রা কিং।


3. ভিআইপি রোটারি সাটিন: ভিআইপি রোটারি সাটিন একটি প্রিমিয়াম মানের সাটিন ফ্যাব্রিক, যা সাধারণত উচ্চমানের কটন বা সিনথেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়। এটি বিশেষ রোটারি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, যা ফ্যাব্রিকের উপর জটিল ও সুন্দর ডিজাইন তৈরি করে।


বৈশিষ্ট্য:

প্রিমিয়াম ডিজাইন: রোটারি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি জটিল ও নজরকাড়া ডিজাইন থাকে।

মসৃণ ও চকচকে: ভিআইপি রোটারি সাটিন অত্যন্ত মসৃণ ও চকচকে, যা একে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

আরামদায়ক: এই ফ্যাব্রিক ত্বকের জন্য খুবই আরামদায়ক এবং বিলাসবহুল ঘুমের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

দাম: এর প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্য ও ডিজাইনের কারণে এটি সাধারণত দামি হয় এবং উচ্চমানের বেড শিট বা অন্যান্য ঘরোয়া সামগ্রীতে ব্যবহৃত হয়।

আকার: এই বিছানা চাদরগুলো শুধুমাত্র এক্সট্রা কিং সাইজে পাওয়া যায়।


4. ডিজিটাল সাটিন: ডিজিটাল সাটিন হলো সাটিন ফ্যাব্রিকের একটি ভ্যারিয়েশন, যা ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ফ্যাব্রিকের উপর উচ্চ রেজোলিউশনের ডিজাইন ও রঙিন প্যাটার্ন প্রিন্ট করা হয়।


বৈশিষ্ট্য:

উচ্চ রেজোলিউশন প্রিন্টিং: ডিজিটাল প্রিন্টিং-এর মাধ্যমে ফ্যাব্রিকের উপর বিস্তারিত ও রঙিন ডিজাইন তৈরি করা হয়।

মসৃণ ও চকচকে ফিনিশ: সাটিনের প্রাকৃতিক মসৃণতা ও চকচকে ভাব ডিজাইনকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

বৈচিত্র্যময় ডিজাইন: এই ফ্যাব্রিকের উপর যেকোনো ধরনের কাস্টম ডিজাইন প্রিন্ট করা সম্ভব, যা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেওয়া যায়।

আধুনিক ও স্টাইলিশ: ডিজিটাল সাটিন আধুনিক ও ট্রেন্ডি লুক প্রদান করে, যা ঘর সাজানোর জন্য আদর্শ।

আকার: এই বিছানা চাদরগুলো শুধুমাত্র এক্সট্রা কিং সাইজে পাওয়া যায়।


৩) পারকেল কটন কাপড়ের বিছানা চাদর: পারকেল কটন কাপড়ের বিছানা চাদর হলো একটি উচ্চ মানের বেড শিট, যা ১০০% কটন ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি করা হয়। পারকেল একটি বিশেষ বুনন পদ্ধতি যেখানে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে সমান সংখ্যক উর্ধ্বমুখী এবং নিম্নমুখী থ্রেড ব্যবহার করা হয়, যা ফ্যাব্রিককে মজবুত এবং মসৃণ করে তোলে।


পারকেল কটন কাপড়ের বিছানা চাদরের বৈশিষ্ট্যসমূহ:

শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্যতা: পারকেল কটন চাদর অত্যন্ত শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য, যা ঘুমের সময় আরামদায়ক ও ঠাণ্ডা অনুভূতি প্রদান করে। গ্রীষ্মকালে এটি খুবই আরামদায়ক, কারণ এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

মসৃণতা: পারকেল কটন চাদর সাধারণত মসৃণ এবং সুতি ফ্যাব্রিকের মতোই কোমল হয়, তবে এতে সাটিনের মতো চকচকে ভাব নেই। এই চাদরগুলো ক্রিস্প এবং পরিষ্কার অনুভূতি প্রদান করে।

টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী: পারকেল বুনন পদ্ধতির কারণে এই চাদরগুলো অনেক বেশি মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটি বারবার ধোয়ার পরেও এর মসৃণতা এবং স্থায়িত্ব বজায় রাখে।

ক্রিঙ্কল-মুক্ত: পারকেল কটন চাদর তুলনামূলকভাবে কম ভাঁজ পড়ে এবং সহজেই মসৃণ থাকে, যা এটিকে সহজেই ব্যবহারের উপযোগী করে তোলে।

ম্যাট ফিনিশ: পারকেল কটন চাদরে ম্যাট ফিনিশ থাকে, যা একটি স্নিগ্ধ ও ক্লাসিক লুক প্রদান করে।

সহজ যত্ন: পারকেল কটন চাদর সহজেই ধুতে এবং যত্ন নিতে সুবিধাজনক। এটি সাধারণত মেশিনে ধোয়া যায় এবং দ্রুত শুকিয়ে যায়।

ব্যবহারের উপযোগিতা: পারকেল কটন চাদর যাদের জন্য উপযুক্ত, যারা পরিষ্কার, ক্রিস্প, এবং শীতল বেডিং পছন্দ করেন। এটি বিশেষত গরমের সময়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়, কারণ এটি ঠাণ্ডা এবং আরামদায়ক ঘুমের জন্য আদর্শ।


এটি একটি ক্লাসিক এবং সর্বজনীন পছন্দ, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং কার্যকরী ব্যবহারের জন্য নির্ভরযোগ্য।


পারকেল কটন কাপড়ের বিছানা চাদরের প্রকারভেদ: কাপড়ের বুনন ও গুণগত মান 

বিবেচনায় হোম টেক্স বাংলাদেশ সাটিন বেড শিটগুলোকে প্রধান ২ টি ভাগে ভাগ করে। 

ভাগগুলো হল:

  1. রোটারি টুইল পারকেল

  2. রেগুলার পারকেল কটন




1. রোটারি টুইল পারকেল: রোটারি টুইল পারকেল হলো একটি বিশেষ ধরনের ফ্যাব্রিক, যেখানে পারকেলের মসৃণ বুনন পদ্ধতির সাথে টুইল বুনন প্যাটার্ন এবং রোটারি প্রিন্টিং প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়।


বৈশিষ্ট্য:

টেক্সচারাল প্যাটার্ন: টুইল বুননের কারণে ফ্যাব্রিকের উপর ডায়াগোনাল বা আড়াআড়ি রেখার টেক্সচার থাকে, যা দেখতে আকর্ষণীয়।

প্রিন্টেড ডিজাইন: রোটারি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে জটিল এবং বিস্তারিত ডিজাইন তৈরি করা হয়।

মসৃণতা ও মজবুততা: পারকেলের মসৃণতা ও টুইল বুননের মজবুততা একসাথে যুক্ত হয়, যা ফ্যাব্রিককে আরামদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে।

দৈনন্দিন ব্যবহারের উপযোগী: এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য, টেকসই, এবং আধুনিক লুক প্রদান করে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

আকার: এই বিছানা চাদরগুলো শুধুমাত্র কিং সাইজে পাওয়া যায়।


2. রেগুলার পারকেল কটন: রেগুলার পারকেল কটন হলো একটি প্রিমিয়াম মানের সুতি ফ্যাব্রিক, যা সাধারণত সমান সংখ্যক উর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী থ্রেড দিয়ে বোনা হয়, প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ১৮০ বা তার বেশি থ্রেড কাউন্ট থাকে।


বৈশিষ্ট্য:

মসৃণ ও ক্রিস্প: রেগুলার পারকেল কটন ফ্যাব্রিক মসৃণ, ক্রিস্প, এবং ত্বকের জন্য আরামদায়ক।

শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য: এটি ভালোভাবে বায়ু চলাচলের অনুমতি দেয়, যা ঘুমের সময় শীতল ও আরামদায়ক রাখে।

টেকসই: উচ্চমানের বুনন পদ্ধতির কারণে এটি টেকসই এবং বারবার ধোয়ার পরেও স্থায়িত্ব বজায় রাখে।

ক্রিঙ্কল-মুক্ত: সহজে ভাঁজ পড়ে না এবং দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার ও ঝরঝরে থাকে।

আকার: এই বিছানা চাদরগুলো ৪ টি ভিন্ন সাইজে পাওয়া যায়। সাইজগুলো হল- সিঙ্গেল, সেমি ডাবল, ডাবল বা কিং ও এক্সট্রা কিং।


আকার অনুযায়ী হোম টেক্স বাংলাদেশ এর বিছানার চাদর:

আকার অনুসারে হোম টেক্স বাংলাদেশের বিছানা চাদর গুলো হল-

১) সিঙ্গেল বিছানা চাদর (Single Bed Sheet)

২) সেমি-ডাবল বিছানা চাদর (Semi-Double Bed Sheet)

৩) কিং সাইজ বিছানা চাদর (King or Double Size Bed Sheet)

৪) এক্সট্রা কিং সাইজ বিছানা চাদর (Extra King Size Bed Sheet)

১) সিঙ্গেল বিছানা চাদর: সিঙ্গেল ঘুমানোর মতো বিছানাগুলোতে যে ধরনের চাদর আবৃত করা হয়, সেগুলোই সিঙ্গেল বিছানা চাদর। সিঙ্গেল বিছানা চাদরের বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

  • উপাদান: শতভাগ সাটিন বা সুতি কাপড়।

  • বিলাসবহুল বিছানা সেট।

  • ১ টি বালিশের কভার (Pillow Cover)

  • আকার: ৬০ ইঞ্চি X ৯০ ইঞ্চি বা ৫ ফুট X ৭.৫ ফুট।

  • বালিশের কভার সাইজ: ১৯ ইঞ্চি X ২৮ ইঞ্চি।

  • রঙের গ্যারান্টি।

  • বাংলাদেশে তৈরি।

  • মান নিয়ন্ত্রিত (QC)।

২) সেমি-ডাবল বিছানা চাদর: সেমি ডাবল বিছানা চাদর সেমি ডাবল বিছানার জন্য উপযুক্ত। সেমি ডাবল বিছানা সাধারণত একটি বিছানা যা দুই জনের জন্য যথেষ্ট বড় হলেও, ডাবল বিছানার তুলনায় কিছুটা ছোট। সেমি ডাবল বিছানা চাদরের বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

  • উপাদান: শতভাগ সাটিন, কটন বা পারকেল কটন কাপড়।

  • বিলাসবহুল বিছানা সেট।

  • ১ বা ২ টি বালিশের কভার।

  • আকার: ৭৬ ইঞ্চি X ৯৬ ইঞ্চি বা ৬.৫ ফুট X ৮ ফুট বা ১৯৩ সে.মি X ২৪৪ সে. মি. ।

  • বালিশের কভার সাইজ: ১৯ ইঞ্চি X ২৯ ইঞ্চি।

  • রঙের গ্যারান্টি।

  • বাংলাদেশে তৈরি।

  • মান নিয়ন্ত্রিত (QC)।

৩) কিং বা ডাবল সাইজ বিছানা চাদর: কিং বিছানা চাদর হলো একটি বিছানা চাদর যা ডাবল বিছানার জন্য ডিজাইন করা। এটি দুইজন মানুষের জন্য যথেষ্ট বড় এবং সাধারণত নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

  • উপাদান: শতভাগ সাটিন, কটন বা পারকেল কটন কাপড়।

  • প্রতিটি বিছানার সেটে রয়েছে একটি বিছানা চাদর ও দুটি বালিশের কভার।

  • বেশ সফট।

  • আকার: ৯০ ইঞ্চি X ১০০ ইঞ্চি বা ৭.৫ ফুট X ৮.৫ ফুট বা ২২৯ সে.মি X ২৫৪ সে. মি. ।

  • বালিশের কভার সাইজ: ১৯ ইঞ্চি X ২৯ ইঞ্চি বা ৪৮ সে.মি X ৭৪ সে. মি. ।

  • সাইড বালিশের কভার (Side Pillow Cover) সাইজ: ৩৮ ইঞ্চি X ৩২ ইঞ্চি বা ৯৭ সে.মি X ৮১ সে. মি. ।

  • রঙের গ্যারান্টি।

  • বাংলাদেশে তৈরি।

  • মান নিয়ন্ত্রিত (QC)।

৪) এক্সট্রা কিং সাইজ বিছানা চাদর: এক্সট্রা কিং সাইজ বিছানা চাদর হলো একটি বৃহত্তর বিছানা চাদর যা এক্সট্রা কিং সাইজ বিছানার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই চাদরের আকার সাধারণভাবে অন্যান্য বিছানা চাদরের তুলনায় বড়, যাতে এটি অতিরিক্ত বড় বিছানার পুরোপুরি ঢাকতে পারে। এক্সট্রা কিং সাইজ বিছানা চাদরের বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

  • উপাদান: শতভাগ সাটিন, কটন বা পারকেল কটন কাপড়।

  • প্রতিটি বিছানার সেটে রয়েছে একটি বিছানা চাদর ও দুটি বালিশের কভার।

  • বেশ সফট।

  • থ্রেড সংখ্যা: ৩২৫।

  • আকার: ১০০ ইঞ্চি X ১১০ ইঞ্চি বা ৮.৪ ফুট X ৯.২ ফুট বা ২২৯ সে.মি X ২৮০ সে. মি. ।

  • বালিশের কভার সাইজ: ১৯ ইঞ্চি X ২৯ ইঞ্চি বা ৪৮ সে.মি X ৭৪ সে. মি. ।

  • সাইড বালিশের কভার সাইজ: ৩৮ ইঞ্চি X ৩২ ইঞ্চি বা ৯৭ সে.মি X ৮১ সে. মি. ।

  • রঙের গ্যারান্টি।

  • বাংলাদেশে তৈরি।

  • মান নিয়ন্ত্রিত (QC)।

উপসংহার:

হোম টেক্স বাংলাদেশের বিছানা চাদরগুলি আরামদায়ক, টেকসই এবং বর্ণিল শৈলীতে ভরপুর। কটন, পারকেল, সাটিন, এবং মিশ্রণ ফ্যাব্রিক ব্যবহৃত হয়, যা প্রতিটি চাদরকে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ডিজাইন এবং আকারের বৈচিত্র্য থাকায়, হোম টেক্স বিছানা চাদরগুলি আধুনিক ও বিলাসবহুল ঘর সাজানোর জন্য আদর্শ পছন্দ। তাদের পণ্যগুলির মান এবং দীর্ঘস্থায়িত্ব, পাশাপাশি চমৎকার কাস্টমার সেবা, হোম টেক্সকে বাংলাদেশের টেক্সটাইল বাজারে একটি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই এ জনপ্রিয়তা ধরে রাখার ব্যাপারে হোম টেক্স বাংলাদেশ সর্বদা বদ্ধপরিকর।

Comments

Follow us on Facebook